জাতীয় সংসদে নজীবুল হক ভান্ডারীর বক্তব্য উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক, ৩১৩ শীর্ষ আলেম ও পীর মাশায়েখ
নিউজ ডেস্ক:
গত ১৭ জুন মহান জাতীয় সংসদে তথাকথিত তরিকত ফেডারেশনের মনোনীত সদস্য নজীবুল বশর মাইজভান্ডারির প্রদত্ত বক্তব্য সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য প্রণোদিত উস্কানিমূলক দাবী করে দেশের ৩১৩ আলেম ও পীর মাশায়েখ বিবৃতি প্রদান করেছেন। আজ (১৯/৬/২১) সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত শীর্ষ ওলামা -মাশায়েখ এক বিবৃতিতে বলেন গত ১৭জুন মহান জাতীয় সংসদে নজীবুল বশর মাইজভান্ডারির উস্কানিমূলক বক্তব্য আমাদেরকে হতাশ করেছে। ভান্ডারী সংসদের মান-সম্মানের ও গুরুত্তের দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে গ্রামের মহিলাদের মত স্বতিন্যা ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে মহান জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছেন।
মূলত তার বক্তব্যে তিনি যে একজন নিচু মনের মানুষ, ভন্ড ও প্রতারক তা প্রকাশ পেয়েছে।
তার মত একজন মাজার পূজারী ব্যবসায়ী, যার হর-হামেশা নজর মানুষের গোয়াল ঘরের দিকে থাকে কখন তাদের গরু,ছাগল, মহিষ নিয়ে ভন্ডামীতে শিরিক করবে, তিনি এটাই ভাবেন।জাতীয় সংসদের রীতি-নীতি, মান-সম্মান নিয়ে ভাববার সময় কোথায়।
তিনি কাঠ বিড়ালি কতৃক বাগান ভাগ করার মত আল্লামা শফী ও বাবুনগরীর গ্রুপ ভাগ করার কে?!!!!
আল্লামা শফীর জীব্ধশায় এসব ভান্ডারী,মাজার পূজারী,নাস্তিক, মুরতাদ,মুশরিক, প্রতারক ও বেদাতি যে কোন বাতিল ফেরকা মাথা তোলে দাড়াতে পারেনি।
ইনশাআল্লাহ
আগামীতে ও তার অনুসারী ও ভক্তদের সামনে দাড়াতে পারবে না।
তার সম্পর্কে ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগ নেতা ”পিয়ারু ইসলাম” প্রথম আলোকে বলেছিলেন,
সাংসদ ভান্ডারী এলাকার জামাত শিবির ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে রাজনীতি করেছেন
তিনি ভিন্ন মতাদর্শের কেডারদের সংঘটিত করে ফটিকছড়িতে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছেন। ফলে তিনি সম্প্রতি গড়ে উঠা মামা -ভাগিনার ফটিকছড়ি সমিতির ছায়ায় নিজের শেষ রক্ষার কৌশল নিয়েছেন।
আলেমগণ বলেন, এই নজীবুল ভান্ডারী একজন সুযোগ সন্ধানী ও পল্টিবাজ। সে ফটিকছড়িতে জামাত ও বিএনপির সাথে লিয়াজু করে চলেন।
কিছু দিন বিএনপিতে যোগ দান আবার তোওবা করে আওয়ামী লীগে যোগ দান করে আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত নজিবুলের সম্পদ পাচ বছরে বেড়েছে দশ গুণ।
ক্ষমতা লোভী এই ভন্ড নিজের পরিবারে ও তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাইজভান্ডারকে কয়েক গ্রুপে বিভক্ত করে রেখেছে। মাইজভান্ডার এর বিশাল অংকের টাকা আত্নসাৎ করার ঘঠনা সবার মুখে মুখে জানা আছে।
আলেমগণ আগামীতে এধরণের ক্ষমতা লোভী, জন বিচ্ছিন্ন, টাকা আত্নসাৎকারী, অযোগ্য ভন্ডকে ফটিকছড়ি থেকে মনোনয়ন না দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান এবং হেফাজত নিয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন,
সর্ব জনাব মুফতি সাঈদ আহমদ মিরপুর
মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দীন
মাওলানা আবু তুরাব নদভী
মাওলানা আবুল কাসেম নুমানী
মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী
মাওলানা কাজী বশিরুল্লাহ জীলানী
মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুর
মাওলানা মুফতি জমির উদ্দিন
মাওলানা আতা উল্লাহ (পীর সাহেব উজানী)
মাওলানা নুরুল ইসলাম (পীর সাহেবআগারগাঁও)
মাওলানা আবু মুসা হাটহাজারী
মাওলানা আনওয়ার শাহ বিবাড়িয়া
মাওলানা উবাইদুল্লাহ মুন্সিগঞ্জে
মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আমিনী প্রমূখ
প্রিয় পাঠক, ডেইলি খবরের ডটকমে আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাসে আপনার কমিউনিটির নানান খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন khoborernews@gmail.com এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।