বর্ষীয়ান আলেমেদীন আল্লামা জাফরুল্লাহ খানের ইন্তেকালে শাইখুল হাদীস আনাস মাদানীর শোক
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাবেক মহাসচিব, দেশের প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, বহু গন্থ প্রণেতা, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া কামরাঙ্গীরচর মাদ্রাসার সাবেক সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান রহ. এর ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মেহেরিয়া মুঈনুল ইসলাম সরফভাটা রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের সম্মানিত মহাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী সাহেব দাঃ বাঃ।
আজ (২১ জানুয়ারী ) জুমাবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় মাওলানা আনাস মাদানী বলেন,
মাওলানা জাফরুল্লাহ খান রহঃ দেশের ইসলামী রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন, কোরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুকাবেলায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল।
বিশেষ করে তিনি সকল কাজে দারুল উলুম দেওবন্দের উসুলকে প্রধান্য দিতেন। আমার বাবা শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহঃ এর আস্থাবান ব্যক্তি ছিলেন, শাইখুল ইসলাম রহঃ’কে খুব শ্রদ্ধা ও ভক্তি করতেন। প্রায় সময় তিনি বিভিন্ন পরামর্শের জন্য শাইখুল ইসলাম রহঃ এর কাছে আসতেন।
মাওলানা আনাস মাদানী আরো বলেন,
মাওলানা জাফরুল্লাহ খান হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর জীবদ্দশায় খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিবের দায়িত্ব অত্যন্ত যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। তিনি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতেন।
তিনি রাজনীতির পাশাপাশি দরস ও তাদরীসের সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি বহু মসজিদ, মাদরাসা প্রতিষ্ঠাসহ দীনের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন।
শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহঃ এর নেতৃত্বে দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর থাকায় যেকোনো ঈমানী আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে মাওলানা জাফরুল্লাহ খান রহঃ’র সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। দেশে ইসলামি শিক্ষা বিস্তার এবং দ্বীনি আন্দোলনে প্রায় সময় হযরত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আমার বাবার ইন্তেকালের পর প্রায় সময় যোগাযোগ করে খোঁজ-খবর নিতেন।
তিনি আরো বলেন, এলমে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে হযরতের ভূমিকা কওমি অঙ্গনে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিটি ধাপ আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার লেখা প্রায় ৪০ টির বেশী বই বাজারজাত হয়েছে। এদেশের ইসলাম ও মানুষের জন্য তার কুরবানী ভবিষ্যতে স্বর্নাক্ষরে লেখে রাখা হবে। দেশের এই অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সাথে সাথে হযরতের মাগফিরাত কামনা করছি।
দেশজুড়ে মাওলানা জাফরুল্লাহ খান রহঃ এর রুহানি সন্তান, শোকসন্তপ্ত পরিবার,সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।
উল্লেখ্য, আজ (২১ জানুয়ারী ) জুমাবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম দামপাড়া মাদরাসায় কুরআনুল কারীম তেলাওয়াতরত অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও চার মেয়ে রেখে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের জানাজার নামাজ আগামীকাল (শনিবার) সকাল ১০টায় নেত্রকোনা সদরের মালনি এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
আল্লাহ হযরতের কবরকে জান্নাতের বাগান করে দিন। (আমিন)
প্রিয় পাঠক, ডেইলি খবরের ডটকমে আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাসে আপনার কমিউনিটির নানান খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন khoborernews@gmail.com এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।